সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নেত্রকোনায় অপরিবর্তিত
নেত্রকোনা সদর ও কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উঁচু-নিচু এলাকা ও নদ-নদী পাহাড়ি ঢলের পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত সরছে না। এ কারণে দুই উপজেলার অন্তত ৭০টি গ্রাম এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির তুলনামূলক উন্নতি হয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট:
নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
আকস্মিক বন্যায় নেত্রকোনা সদর ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত সাত শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এতে মৎস্যচাষীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান শুক্রবার দুপুরে জানিয়েছেন, কলমাকান্দা পয়েন্টে সোমেশ্বরী নদীর পানি আজও বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার এবং উব্দাখালি নদীর পানি ১১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া দুর্গাপুর পয়েন্টে সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, জারিয়ায় কংস নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার এবং খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। তাছাড়া বৃষ্টিপাতও কম হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল বন্ধ থাকায় জেলা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
গত ২৫ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে জেলা শহর, ছাতকসহ বিভিন্ন এলাকা নিমজ্জিত হয়। প্রায় তিন হাজার মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। তবে ২-৩ দিন পরেই পানি নামতে শুরু করে। বর্তমানে জেলা শহরের পানি নেমে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সুরমা নদীসহ সব সীমান্ত নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া বৃষ্টিপাত কমায় পানিও নামছে।