স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন নেবেন ৭ ফেব্রুয়ারি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা কর্মচারী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব এনটিডি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই।
দেশজুড়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান শুরু হচ্ছে জানিয়ে সকল মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সচিবদের ভ্যাকসিন গ্রহণের অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস দূর করতে ভ্যাকসিন নিতে হবে। টিকা ছাড়া কোনো রোগই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। হাম-পোলিওর মতো রোগগুলো দূরীকরণেও আমাদেরকে টিকা নিতে হয়েছে। করোনাভাইরাস দূর করতেও আমাদেরকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রত্যেককেই কোনো না কোনো সময়ে টিকা নিতে হয়েছে। আর টিকা নিলে জ্বর-সর্দি, ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিতে সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। যারা অনলাইনে আবেদন করতে অপারগ, তাদের গ্রাম পর্যায়ে তথ্য কেন্দ্রে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়াও টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ফর্ম ফূরণ করা যাবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারিগুলো বিদায় নিয়েছে। অথচ ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই বিভ্রান্তির ফলে শুরুতে মানুষের মনে ভয়ের শঙ্কা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা কেটে যাচ্ছে। কারণ, ভ্যাকসিনের প্রথম দু 'দিন প্রয়োগের ফলে দেখা যাচ্ছে, এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কারো শরীরে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
'সরকার আগে থেকেই বলেছে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। তবে, ব্যাপক মানুষের শরীরে প্রয়োগের পরে দুই একজনের দেহে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতেও পারে। কারণ, পৃথিবীর সকল ভ্যাকসিনই এরকম স্বল্পমাত্রায় মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কোনোভাবেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা থেকে মানুষকে বিরত থাকতে উৎসাহ দেয়া যাবে না। এতে করোনাভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে আরও বেশি সময় লাগবে,' বলেন তিনি।