সৎ মায়ের কাছে থাকাই কাল হলো শিশুটির
শিশু সাইফকে হাত-পা বেঁধে বাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন তার সৎ মা। ৩০/৪০ মিনিট পর কক্ষের দরজা খুলে দেখতে পান শিশুটি আর বেঁচে নেই। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই শিশুটিকে বাথরুমে নিয়ে পানির বালতিতে মুখ ডুবিয়ে রাখেন। এমনকি ডাকাতির নাটক সাজিয়ে সাইফের বাবাকে ফোন দেন তিনি।
টাঙ্গাইলের শিশু সাইফ (৯) হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত সাইফের সৎ মা সাবরিনা নাহার সিনথি সোমবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা সুলতানা এ জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে সাবরিনা নাহারকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন আদালত।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, শহরের আমিন বাজার এলাকায় সাইফের বাবা ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিহত সাইফের সৎ মা গত শনিবার রাত আটটার দিকে ফোন করেন তার বাবা মো. সালাউদ্দিনকে। ফোনে জানান অজ্ঞাতনামা তিন দুষ্কৃতিকারী তাদের বাসায় ঢুকে তার ও সাইফের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। তারা যাওয়ার সময় সাইফকে বাথরুমে পানির বালতিতে ডুবিয়ে রেখে গেছে। ফোন পেয়ে সাইফের বাবা তার কম্পিউটার সেন্টার থেকে বাসায় গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় ডাক্তার সাইফকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। সাবরিনা নাহারের ঘটনার বর্ণনাটি তাদের রহস্যজনক মনে হয়। পরে পুলিশ সাবরিনা নাহার ও তার স্বামী সালাউদ্দিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাবরিনা সাইফকে হাত-পা বেঁধে ঘরে আটকে রাখার এক পর্যায়ে মৃত্যু হয় বলে জানান। পরে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন সৎ মা।