হাতির আক্রমণেই মারা গেলেন হাতি হত্যায় অভিযুক্ত আসামি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাতির আক্রমণেই মারা গেলেন বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হাতি হত্যায় অভিযুক্ত আসামি। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তিনি চকরিয়ার জঙ্গল হারবাং এলাকায় গেলে হাতির পাল তাকে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও-উত্তর) মো.আনোয়ার হোসেন সরকার।
নিহত জানে আলম (৩৭) চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামসুল আলমের ছেলে। তিনি গত ১৩ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলার জঙ্গল হারবাং এলাকায় হাতি হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি। অভিযুক্ত হবার দু'সপ্তাহের মাথায় শনিবার সন্ধ্যায় জঙ্গল হারবাং এলাকায় হাতির পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন তিনি।
ডিএফও বলেন, ১৩ নভেম্বর ওই এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয় ১৫-১৭ বছর বয়সী একটি পুরুষ হাতিকে। হাতি হত্যার ঘটনায় করা মামলার পাঁচজন আসামির মধ্যে নিহত জানে আলম ২ নম্বর আসামি।
তার নেতৃত্বে সেদিন বন্য হাতিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে হত্যার অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে উল্লেখ করে ডিএফও আরো বলেন, জঙ্গল হারবাং এলাকায় ক্ষেতের ফসল রক্ষার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বৈদ্যুতিক তার পুঁতে রেখেছিলেন। খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির দল ক্ষেতে নামতে গেলে বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে ১৩ নভেম্বর একটি পুরুষ হাতির মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকিয়ে হাতি হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধেছুয়া পালং রেঞ্জের রেঞ্জার ও হাতি নিয়ে কাজ করা বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "হাতি স্বল্প সময়ের জন্য তার ওপর হুমকি সৃষ্টিকারীকে চিনতে পারে। সে অনুযায়ী স্বগোত্রের কাউকে হত্যার প্রতিশোধও নিতে পারে হাতির পাল। এটিও এমন একটি ঘটনা।"
উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বরে শেরপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গুলিতে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে এবং অজ্ঞাত কারণে ৮টি হাতি মারা গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন হাতিকে মহাবিপদাপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত করেছে।