হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িত ২০ মাদ্রাসাছাত্রকে বহিস্কার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবে জড়িত থাকার দায়ে ২০ মাদ্রাসাছাত্রকে বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুল হক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাণ্ডবের ঘটনায় দলীয় কোনো নেতাকর্মী বা মাদ্রাসাছাত্র জড়িত নয় বলে দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান। ওইদিন তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসে হেফাজতে ইসলাম ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রতিনিধি দল।
বহিস্কৃত ছাত্ররা হলেন, আশেকে এলাহী, আবু হানিফ, মিছবাহ উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মকবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মুবারক উল্লাহ, বুরহানুদ্দীন, আব্দুল্লাহ আফজাল, জুবায়ের, হিজবুল্লাহ রহমানী, শিব্বির আহমেদ, জুবায়ের, ইফতেখার আদনান, সাইফুল ইসলাম, সোলাইমান, রাকিব বিল্লাহ, তারিক জামিল ও হাবিবুল্লাহ।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মুফতি শামছুল হক সরাইলী স্বাক্ষরিত বহিস্কার আদেশে বলা হয়, 'মাদ্রাসার ভর্তি পালনীয় শর্তাবলীর ২৫নং ধারায় মাদ্রাসার সমুদয় রীতিনীতি ও আইন-কানুন অমান্য করে হুজুরদের বাধাকে উপেক্ষা করে গত ২৬ মার্চ সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করার সংবাদ পাওয়ার ভিত্তিতে তাদেরকে বহিস্কার করা হলো।'
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনায় ৫৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ৩৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।