১০ দিনে ভারত গেল ৯০ টন ইলিশ
বর্ধিত সময়ে গত দশ দিনে বাংলাদেশ থেকে ৯০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। নয়টি প্রতিষ্ঠান ৯ লাখ ৫ হাজার ডলার মূল্যমানের এই মাছ রপ্তানি করে।
এর আগে ১,১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মাছ রপ্তানির শেষ সময়। গত ২৬ অক্টোবর সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময় বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তানিয়া ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। তবে গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। ফলে অনুমোদন পাওয়া রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এ বিষয়টি বিবেচনা করে অবশিষ্ট ইলিশ রপ্তানির সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
বেনাপোল ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বর্ধিত সময়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে ৯০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ১১৫টি প্রতিষ্ঠান ৪,৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পায়। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয় ১০ ডলার। গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫১টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ মাছ রপ্তানি করে ১,১০৮ মেট্রিক টন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে প্রথম চালানে ৪টি ট্রাকে ২৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়।
রপ্তানিকারক আবদুল কুদ্দুস জানান, দেশে ইলিশের উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। পরবর্তীতে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্কের সূত্র ধরে সরকার ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর পূজার আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে।