৪০ হাজার কুয়েত প্রবাসীর মালামাল ১৪ মাস ধরে আটক চট্টগ্রাম বন্দরে
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে গত ১৪ মাস ধরে আটকে পড়ে আছে সি কার্গোতে পাঠানো প্রায় ৪০ হাজার কুয়েত প্রবাসীদের মালামাল। কুয়েত থেকে যে সকল প্রবাসীরা দেশে পরিবার পরিজনের জন্য গৃহস্থালী আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল, কসমেটিকস, ট্যাং, দুধসহ ভোগ্যপণ্য সি কার্গোতে বুক দিয়েছেন। দেড় মাসের মধ্যে মালগুলো পোঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় ১৪ মাস হয়ে গেছে এখনো বুঝে পাননি তারা।
ফলে একদিকে কার্গো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাস্টমারদের চলছে ঝামেলা, অন্যদিকে এ ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট পাঁচ শতাধিক প্রবাসী ব্যবসায়ী হয়েছেন সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন।
কুয়েতে বাংলাদেশী মালিকানাধীন দুই শতাধিক কার্গো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মালামাল প্রেরণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান বেশ সুনামের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে হঠাৎ এ ব্যবসায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ওদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, আইপিসিপি ছাড়া বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মাল পাঠানো হয়েছে এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ মাস ধরে আটকে রেখেছেন প্রায় ৪০ হাজার কুয়েত প্রবাসীর মাল।
এ পরিস্থিতিতে কুয়েতের কার্গো ব্যবসায়ীরা বলেন, নিম্ন আয়ের প্রবাসীদের কসমেটিকস, ট্যাং, দুধসহ ভোগ্যপণ্য কখনোই ব্যবসায়িক পণ্য হতে পারেনা এবং এক্ষেত্রে আইপিসিপি করে মাল পাঠানোও তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কার্গো ব্যবসায়ীরা বলেন, কাস্টমস নিয়ম বহির্ভূত কোনো কাজ তারা করেননি, ভবিষ্যতেও সব কাস্টমস নিয়ম মেনেই তারা কার্গো ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। তবে বর্তমানে চট্রগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া প্রায় ৪০ হাজার কুয়েত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা মালামাল যেন দ্রুত মুক্ত করে প্রবাসীদের স্বজনদের পেতে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা করেন।
কার্গো মালামালের জটিলতা নিয়ে কুয়েত প্রবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবর গেলো বছর লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়। পরে দূতাবাস থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আরেকটি আবেদনের মাধ্যমে উক্ত সমস্যা সুরাহার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়।
এদিকে কুয়েত প্রবাসীরা বলেন, তাদের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা প্রেরিত মালামাল এরই মধ্যে অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে, তবুও তারা চাচ্ছেন বাকি মালামাল যেন তাদের স্বজনরা ফিরে পায়।