৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ভবন ধসে চাপা পড়া শিশুর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায় ভবন ধসের ঘটনায় টানা দুইদিন অভিযানের পর আটকে পড়া শিশু ইফতেখার আলম ওয়াজেদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ওয়াজেদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন
তিনি জানান, দুপুর দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা ভবন কেটে নীচতলার ফ্লোরের পৌঁছালে মৃতদেহের সন্ধান পায়। নিহত ওয়াজেদের মৃতদেহটি ধসে পড়া ভবনের একটি বীমের নিচে আটকা পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দেয়াল ভিম কেটে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “গত ৩ নভেম্বর বাবুরাইল তাতিপাড়া এলাকার চারতলা ভবনটি ধসে পড়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার টানা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় শিশু ওয়াজেদের মৃতদেহ শনাক্ত করে। পরে তা উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসা হয় এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, প্রথম দফায় উদ্ধার অভিযান এখানেই সমাপ্তি টানা হয়েছে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সুরতহাল সম্পন্ন করেন। তবে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছেন তাঁরা।
তিনি আরও জানান, ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহত শোয়েবের মামা রনি বাদী হয়ে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অবহেলাজনিত কারণ ও বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩ নভেম্বর বিকেলে বাবুরাইল তাতিপাড়া এলাকায় চারতলা ভবনটি ধসে পড়ার পরপরই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও স্থানীয় জনতা। এর মধ্যে শোয়েব নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।