‘হয়রানি’ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জনশক্তি নিয়োগকারীরা
বিদ্যমান আইনের কারণে হয়রানির মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জনশক্তি নিয়োগকারী রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা।
আজ (১৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানান তারা।
২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের কয়েকটি ধারার কারণে পুলিশ 'নিয়োগকারীদের ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি ও অপমানের' সুযোগ পাচ্ছে দাবি করে আইন সংশোধনেরও প্রস্তাব রাখেন তারা।
এছাড়া, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে কোনো শ্রমিক দেশ ছাড়লে তাকে মানবপাচার বিরোধী আইনের আওতামুক্ত রাখার জন্য পৃথক ধারা সংযোজনের দাবিও জানান রিক্রুটিং মালিকরা।
মানবপাচারকারীদের জন্য তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। কিন্তু, একইসঙ্গে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের হয়রানি নিয়েও স্মারকলিপিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, "মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের মাধ্যমে হয়রানির কারণে শ্রমিকদের দেশের বাইরে পাঠানোর সরকারি লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।"
রাজধানী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রপ্রিয়েটর এম টিপু সুলতান টিবিএসকে বলেন, "বিএমইটির ইস্যুকৃত স্মার্টকার্ড স্বীকৃতির পর শ্রমিকদের দেশের বাইরে পাঠানো মানবপাচার নয়। শ্রমিকদের কোনো অভিযোগ থাকলে তারা অভিবাসন আইনের অধীনে প্রতিকার চাইতে পারেন।"
"শ্রমিকদের বৈধভাবে বিদেশ পাঠানো সত্ত্বেও রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মানবপাচারকারীর মতো গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে, তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়," বলেন তিনি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির সদস্যসংখ্যা প্রায় এক হাজার ৫০০।
গত সপ্তাহে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন জনশক্তি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছেও স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।