ভিন্ন পেশার মানুষ পাচ্ছে সরকারি সহায়তা, প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত
জীবনে কখনো মাছ শিকার করেননি কিংবা যাননি কখনো নদীপাড়ে। প্রধান পেশা ব্যবসা, বাণিজ্য বা কৃষি। কিন্ত তারা নিবন্ধিত জেলে। আছে জেলে কার্ড। কার্ডের কারণে প্রতি বছর জেলে হিসেবে পান খাদ্য সহায়তা। চাল বিতরণের দিন লাইনেও দাঁড়াতে হয় না। অন্য লোকের মাধ্যমে চাল চলে যায় বাড়িতে। খাদ্য সহায়তার নাম তালিকায় সবার আগে থাকে তাদের নাম।
অথচ বংশ পরম্পরায় জেলে, মাছ শিকার ছাড়া যাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই, সেই প্রকৃত জেলেরাই সরকারি তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি। নিবন্ধন না থাকায় কোনো খাদ্য সহায়তাও তারা পান না। আবার কার্ডধারী হলেও টাকা না দিতে পারলে তাদের নাম তালিকায় থাকে না। ফলে পেটের দায়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে নেমে আটক কিংবা নির্যাতনের শিকার হন। হারিয়ে ফেলেন জাল ও নৌকা। গত ১০ বছর ধরে এমনটাই চলছে।
উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, রামগতি, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড় ঘুরে স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বললে তারা জানায় এমন তথ্য। জেলেরা জানায়, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা জেলে কার্ডধারী। মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনকারীরাও জেলে। কিন্তু প্রকৃত ও নতুন জেলেরা তালিকায় নেই। জেলেদের তথ্য মতে তালিকায় ভুয়া জেলে রয়েছে কয়েক হাজার, আবার প্রকৃত জেলেও বাদ পড়েছেন কয়েক হাজার। তবে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস দাবি করেছে, ২০১২ সালের তালিকা তৈরির পর ২০২০ সালের দিকে হালনাগাদ করে কিছু ভুয়া ও অন্যপেশার লোককে জেলে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন জেলে যুক্ত করা হয়েছে।
২০১২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রথমবারের মতো জেলে তালিকা তৈরির সময় সহযোগিতা করেছিলেন এমন একজন রামগতি উপজেলার ইলিশ ব্যবসায়ী ও জেলে নেতা আবদুর মাঝি। তিনি জানান, তখন সবাইকে সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। কিন্ত এরপর ২০২২ সাল পর্যন্ত তালিকা আর হালনাগাদ হয়েছে কি না, তা জানেন না তিনি। ফলে প্রথম তালিকায় থাকা ভুয়া জেলে, মৃত জেলে, পেশা ছেড়ে দেয়া লোকদের নামে থাকা জেলে কার্ড পরিবর্তিত হয়নি। এরাই নিয়মিত জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তা পায়। একই সময় বাদ পড়ে যাওয়া জেলেরা নিবন্ধন করতে না পারায় প্রকৃত জেলে হয়েও সহায়তা থেকে বঞ্চিত। এতে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পায় না বহু প্রকৃত জেলে। তাতে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে।
ইমরান নামের এক জেলে জানায়, ভুয়া জেলেদের কারণে খাদ্য সহায়তা বিতরণের সময় ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে জনপ্রতিনিধিরা। তারা টাকা ছাড়া তালিকায় নাম ওঠায় না। তখন প্রকৃত জেলেরা টাকা দিতে অপারগতা জানায়, সুযোগে ভুয়া জেলেরা তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।
মেঘনাপাড়ের কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের পাটারিরহাট বাজারের পাটোয়ারী রেস্টুরেন্টের মালিক মহিবুল উল্লাহ পাটোয়ারী। দীর্ঘ বহু বছর যাবত তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত। মহিবুল উল্লাহ পাটোয়ারীর নামে রয়েছে জেলে কার্ড। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল দুমাস ইলিশ ধরা বন্ধের সময় জেলেদের জন্য যে সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়েছে তা পেয়েছেন তিনি। একই বাজারের স'মিল ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজ, ইসলামগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানদার দুলালের রয়েছে জেলে কার্ড। জেলে না হয়েও জেলে কার্ডে দীর্ঘ বহু বছর যাবত পাচ্ছেন সহায়তার চাল ও নানা সুবিধা।
চর কালকিনি ইউনিয়নের জেলে তালিকার ৪৪৮ নং ক্রমিক ভুক্ত মোঃ আমজাদ হোসেন একজন কোটিপতি ব্যবসায়ী। তার নামে রয়েছে জেলে কার্ড। চলতি বছরেও তিনি অন্য লোকের মাধ্যমে চাল নিয়েছেন বলে ওই ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে জানা গেছে। জনপ্রতিনিধি ও চাল বিতরণে তদারকির দায়িত্বে থাকা একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা জেলে কার্ডে চাল নেন, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই জেলে নন। কিন্তু কার্ডধারী হওয়ায় তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব না।
গত ১৫ মে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের হাজী ফাজেলমিয়ার হাটবাজারে ওই ইউনিয়নের জেলে কার্ডধারীদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এসময় চেয়ারম্যান মির্জা আশরাফুল জামান রাসেল এবং ইউনিয়নের সচিব মোঃ গিয়াস উদ্দিন আগত জেলে কার্ডধারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। একপর্যায়ে উভয়জনই বলেন, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকৃত জেলে নেই। তবুও ৭৮৫ কার্ডধারীর বিপরীতে ৫৯৩ জনের নামে ৮০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
চেয়ারম্যান ও সচিব চাল প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু আপনারা প্রকৃত জেলে নন, সে কারণে ৫৯৩ জনের নামে বরাদ্দকৃত চাল তিনি পুরো তালিকাতে থাকা ৭৮৫ ব্যক্তিদের নামে ৬০ কেজি হারে বিতরণ করেছেন। এসময় এ প্রতিবেদককে জেলে কার্ডধারী ২০-৩০ ব্যক্তি জানান, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে জেলে কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ ভাগও প্রকৃত জেলে নেই। তারা কয়েক বছর আগে নিবন্ধন করেছিলেন, এখন বছর বছর চাল পাচ্ছেন। তবে কখনো মাছ ধরেন নি।
সাহেবেরহাট এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি হারিয়ে নদীপাড়ে ঝুপড়ি ঘরে থাকা আবু ছিদ্দিক জানায়, ২৫ বছর যাবত তিনি জেলে। তার ৪ ছেলেও নদীতে মাছ ধরে। কিন্তু তাদের নামে জেলে কার্ড নেই। রামগতি উপজেলার বালু চর গ্রামের আবু তাহের ১৭ বছর জেলে পেশায়, দিদার রয়েছেন ১০ বছর, সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চরে থাকা মনির ২০ বছর ধরে জেলে। কিন্ত এদের কারোরই জেলে কার্ড নেই। তাই মাছ ধরা বন্ধের সময় সরকারি কোনো সহায়তা পান না তারা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির লক্ষ্মীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান জানায়, জেলে কার্ডের মাধ্যমে সরকারি সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যেও হাজার হাজার কার্ডধারী রয়েছে যারা জেলে না। তিনি জানান, প্রতি বছর তালিকা আপডেট করলে ভুয়া জেলে কমে যাবে এবং প্রকৃত জেলেরা তালিকা ভুক্ত হবে।
জেলেদের তালিকা নিয়ে কথা হয় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মোঃ কামাল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, লক্ষ্মীপুর জেলায় জেলেদের সঠিক কোনো তালিকা অতীতে তৈরি করা হয়নি। অতীতে জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিকট আত্মীয় ও নিজেদের লোকদের নিয়ে জেলে তালিকা তৈরি করে। এতে বিভিন্ন পেশার মানুষ, সচ্ছল ব্যক্তিরা জেলে হিসেব অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে দীর্ঘ ১০ বছর পরেও তালিকা হালনাগাদ হয়নি। প্রকৃত জেলে তালিকায় না থাকায় চলমান তালিকা অনুসারে সব সময় সমবরাদ্দ হয় না। এ সুযোগে তালিকায় নাম উঠানোর জন্য জেলে নয় এমন কার্ডধারী ব্যক্তিরা মেম্বার চেয়ারম্যানদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। এতে প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়।
কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইফুল্লা জানান, তাঁর ইউনিয়নের ২,৮২১ জন নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলের মধ্যে ২,২৪০ জনকে এবার চাল দেওয়া হয়েছে। এই নিবন্ধন কার্যক্রম প্রায় ১০ বছর আগে করা হয়েছিল। তাঁদের অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেছেন। কিন্ত কার্ডধারী ছাড়া অন্য জেলেদের সহায়তা দিতে পারেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ প্রতিবেদন তৈরির সময় লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় রায়পুর, রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা হলে প্রত্যেকে বর্তমান জেলে তালিকায় ৫০ ভাগ অন্য পেশার মানুষের কথা স্বীকার করেছেন।
কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ জানান, প্রকৃত জেলে বাছাই করতে গেলে প্রতিটি স্থানে নানা সমস্যা পড়েছেন। এ কর্মকর্তা জেলে তালিকায় অন্য পেশার বহু লোক আছে বলে স্বীকার করেন। তবে জেলে তালিকা একটি চলমান প্রক্রিয়া বলেও দাবি করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, অতীতে কীভাবে জেলে তালিকা তৈরি হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। সঠিক জেলে তালিকা না থাকায় সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত এবং অর্থের অপচয় হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দেননি।
মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, প্রকৃত জেলে শনাক্ত করে নিবন্ধনকরণ এবং তাঁদের পরিচয়পত্র প্রদান ও ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১২ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটি প্রকল্প শুরু করে সরকার। এর মাধ্যমে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে ১৪ লাখ জেলেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এ পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ জেলে হলেও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পান না। তবে জেলে পরিচয়পত্র নীতিমালা তৈরি হয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। ওই নীতিমালার আলোকে প্রতি বছর জুলাই হতে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রতিটি উপজেলা মৎস্য অফিস তালিকা হালনাগাদ করবে, মৃত জেলেদের নাম্বার বাদ দিয়ে নতুনদের নাম যুক্ত করার কথা রয়েছে নীতিমালায়। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও রয়েছে। কিন্ত বাস্তবে তা হচ্ছে না বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ৩৮ হাজার ৯শ কার্ডধারী জেলে রয়েছে। যার মধ্যে রামগতি উপজেলার বড়খেরী, চর আবদুল্লাহ, চর আলেকজান্ডার, চর পোড়াগাছা, চর রমিজ, রামগতি পৌরসভা, কমলনগরের চর কালকিনি, পাটারিরহাট, সাহেবেরহাট, চর ফলকন, রায়পুরের উত্তর চর বংশী, দক্ষিণ চর বংশী এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন জেলে অধ্যুষিত ইউনিয়ন।
বরিশাল
বরিশালেও অনেক জেলে বঞ্চিত হয়েছে অথচ যারা প্রকৃত জেলে নয় তাদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশনের জেলে নাসির উদ্দিন সারাজীবন জেলে হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। কিন্তু মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে তিনি কখনোই সরকার প্রদত্ত সহায়তা পাননি।
"জানিনা আমার নাম কেন তালিকায় নেই এবং আমি কেন সরকারের খাদ্য সহায়তা বঞ্চিত", বলেন নাসির।
এখানেও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে জেলে নয়, এমন ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা তো স্বীকারও করেছেন, তালিকাভুক্তদের অনেকেই পেশায় জেলে নয়। তবে তাদের দাবি, সেসব ব্যক্তি অতীতে জেলে ছিলেন। উন্নত জীবিকার আশায় তারা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন, যদিও তাতে তাদের দুরবস্থা কাটেনি। মানবিক কারণে এ ধরনের লোকেদের সহায়তা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝালকাঠি উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জানান, জেলে তালিকায় নেই, এমন পাঁচজনকে তিনি সহায়তা দিয়েছেন কারণ তারা হতদরিদ্র। তারা জেলেই ছিলেন। কিন্তু পরে পেশা পরিবর্তন করে দুর্ভাগ্যবশত আরও বেশি দরিদ্রতায় পতিত হন।
ভোলার চরফ্যাশনের ধলচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, অনেক জেলে তালিকার বাইরে রয়ে গেছে এবং সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রকৃত জেলেদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
প্রকৃত অভাবী মৎস্যজীবীদের সহায়তা নিশ্চিত করতে তিনি উপকারভোগীদের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদের পরামর্শ দেন।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতিটি জেলে ৬০ দিনের জন্য ৫৬ কেজি এবং ৩০ দিনের জন্য ৪০ কেজি চাল পেয়ে থাকেন।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার জেলে সরকারি সহায়তা পেয়ে থাকে এবং এখনও অন্তত ৮ হাজার জন এই প্রকল্পের বাইরে।
তিনি আরও বলেন, "এমন অভিযোগ আমরাও শুনেছি তবে জেলেদের তালিকা তৈরির দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের। প্রকৃত জেলে কারা তা নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।"