সারাদেশে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একঘণ্টা করে লোডশেডিং চালু হচ্ছে: নসরুল হামিদ
হাইলাইটস
- আগামীকাল থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং
- আপাতত ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত
- সপ্তাহে ১ দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প
- ৮টার পর শপিংমল বন্ধ
- মসজিদে এসি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে (নামাজের সময় এসি চালু থাকবে)
- সরকারি বেসরকারি অফিসের সভা হবে ভার্চুয়ালি
- অফিসের সময়সূচী ১-২ ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহ সারাদেশের সব এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অন্তত এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে পরের সপ্তাহে লোডশেডিং এর পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হবে'।
তিনি আরও বলেন, 'খরচ কমাতে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখার ও সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে জ্বালানি আমদানির খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে'।
ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দেশের মোট বিদ্যুতের ২.৭৯ শতাংশ সরবরাহ করে। সোমবার সরকার পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
একইসঙ্গে, চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
একইদিন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য অফিসের সময় কমানো বা ভার্চুয়াল অফিস চালু করার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, 'বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের খরচ সাশ্রয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ (১৮ জুলাই) থেকে ডিজেল-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'এতে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এলাকা-ভেদে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে'।
বর্তমান সংকটকে যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থার সাথে তুলনা করে তিনি আরও জানান যে, রাত ৮টার মধ্যেই দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ করতে হবে।
'যারা এসব নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মসজিদ ও উপাসনালয়ে প্রার্থনা ছাড়া অন্য সময় এসি চালানো যাবে না। সরকারি অফিসের সময় কমানো হবে এবং অনলাইনে সভা আয়োজন করা হবে'।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্রাহকদের আগে থেকে লোডশেডিং এর সময়সূচী জানানো হবে। গাড়িতে যাতে তেল কম ব্যবহার হয় সে পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরকার এসব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে, তবে এসব দীর্ঘমেয়াদি হবে না। আমাদের আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে'- যোগ করেন তিনি।