ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হাইকোর্ট। ছাদে যাত্রী পরিবহন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করার কথাও উল্লেখ করেন আদালত।
রেলখাতের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে টানা দুই সপ্তাহ ধরে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের পরপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির বিষয়ে তথ্য জানাতে বৃহস্পতিবার আদালতে আসা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে আদালত বলেন, 'ছাদে বা দাঁড়িয়ে যারা যাচ্ছে তারা কি টাকা দিচ্ছে না? এটা তো দুর্নীতি। আর ছাদে ওঠা বন্ধ করতে পারছেন না, এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে কি দেশ চলবে? এটা কোনো কথাই না। আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অসম্ভব বলে কিছু নেই। এগুলো ঠিক হতে আর কতদিন সময় লাগবে? দেশ স্বাধীনের তো ৫০ বছর হয়ে গেছে।'
আদালত আরও বলেন, 'সব ক্ষেত্রে কিছু সিন্ডিকেটের কারণেই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।'
রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবাদ করা রনির বিষয়ে জানতে চাইলে সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: জুবায়ের হোসেন আদালতকে বলেন, অনলাইনে টিকেট পেতে পেমেন্ট করতে ১৫ মিনিট সময় থাকে। কিন্তু সে ১ ঘণ্টা পর পেমেন্ট করেছিল তাই সে টিকেট পায়নি। তবে ৩ দিন পর সে পেমেন্ট করা টাকা ফেরত পেয়েছে।'
গত বুধবার মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দুদক বা রেলকতৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে আদালতকে জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক এ এম সালাউদ্দিন এবং সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: জুবায়ের হোসেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন মহিউদ্দিন। পরে ঈদুল আজহার আগে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।
১০ জুলাই ঈদের দিনও তিনি অবস্থানে ছিলেন। অবস্থানের তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশের সদস্যরা তাকে বাধা দেন। তখন থেকে তিনি গণস্বাক্ষর বন্ধ রেখে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।