শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী হত্যা: মোবাইল ফোন ও ছুরি উদ্ধার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের (২২) খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুলবুল হত্যার ঘটনায় আটক কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে এই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই বাড়ি থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। এই ছুরি দিয়েই বুলবুলকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
কামরুল ইসলামের বাড়ি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের টিলাগাঁও এলাকায়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে। বুলবুল আহমেদ হত্যার রাতেই কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। বুধবার সকালে তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
এসব তথ্য জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার উত্তর আজবাহার আলী শেখ বলেন, বুলবুলের মোবাইল ফোন ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারবো।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কামরুল। এরপরই তাকে নিয়ে অভিযানে যাওয়া হয়। হত্যায় তিনজন ছিলেন বলেও কামরুল জানিয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ সদস্য।
কামরুলসহ তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেয় বলে ঘটনার সময় বুলবুলের সাথে থাকা ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীনও। হত্যাকারী তিনজন মাস্ক পরা ছিলো বলে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বুলবুল। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।