সম্রাটের জামিন বাতিলের হাইকোর্টের আদেশ বহাল
বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিলের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
অস্ত্র, মাদক ও টাকা পাচারসহ ৩টি মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছে না কথিত ক্যাসিনোর কিংপিন।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৪ মে ঢাকার একটি আদালত সম্রাটকে আবারও কারাগারে পাঠান। জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তিনি জামিনের আবেদন করলেও আদালত নাকচ করে দেন। আদালত সম্রাটের সর্বশেষ জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ৯ জুন দিন ধার্য করেছিল।
গত ১১ মে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন।
তার বিরুদ্ধে চারটি মামলার মধ্যে, এই বছরের ১০ এপ্রিল একটি অর্থ পাচারের মামলা এবং অস্ত্র রাখার মামলায় জামিন পান। ১১ এপ্রিল তাকে মাদক মামলায় জামিন দেওয়া হয়।
চারটি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই ছিলেন।
১৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালে দুদকের করা একটি মামলায় জামিন আদেশ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে।
গত ১৮ মে নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সম্রাট।
২৩ মে আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম সম্রাটের আবেদন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে ৩০ মে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২.৯৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র্যাব একটি অবৈধ জুয়ার র্যাকেটের সাথে সম্পৃক্ততার জন্য কুমিল্লা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে।
কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের অফিসে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ইয়াবা ট্যাবলেট, বিদেশি মদের বোতল ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র্যাব।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।