অবৈধ হাসপাতালে কাজ করা চিকিৎসকও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিন মাস পর আবারও অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাডব্যাংক বন্ধে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার কঠোর অভিযান চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ কোনো হাসপাতালে যদি রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দেন, তাহলে তার কর্মকান্ড অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তাদের কোনো দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নেবে না।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, গত ২৬ মে ৭২ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স নেয়ার জন্য তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিলো। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল, ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৬ মে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করে ও নতুন লাইসেন্স দিয়ে প্রায় ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে ১৯৪৬টি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স রিনিউয়ের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে ২৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ১৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে। লাইসেন্স রিনিউ হয়েছে ২৯৩০।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, অভিযানের পর প্রাথমিকভাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারবো। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা নিয়ে। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের।