বাংলাদেশ ভারতের কাছে ‘ঘনিষ্ঠতম’ রাষ্ট্র: ঢাকাকে দিল্লির বার্তা
প্রতিবেশী বলয়ে বাংলাদেশই ভারতের কাছে ভূ-কৌশলগত এবং ভূ-অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ঘনিষ্ঠতম রাষ্ট্র। আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে ঢাকাকে এই বার্তা দিতে চাইছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে তথ্য।
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা বাকি থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। এ কথা মনে করিয়ে নয়াদিল্লি সূত্র বলছে, ভারতের মোট উন্নয়ন সহযোগিতার ২৫ শতাংশ কেবল বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ প্রশ্নে কোনো 'ধীরে চলো' নীতিতেও বিশ্বাসী নয় নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, "গত এক বছরে আমরা আমাদের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) সবচেয়ে বেশি ছেড়েছি বাংলাদেশের জন্য। কোনো দেশের নাম না করেই বলতে চাই, এত দ্রুত কম সুদে (বছরে ১ শতাংশ) ঋণ, কেউ বাংলাদেশকে দেয়নি।"
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ইতোমধ্যেই ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে নেপাল এবং ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের বিনামূল্যে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া- দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি বড় ধাপ বলে মনে করে সাউথ ব্লক। এর পাশাপাশি এ কথাও বলা হচ্ছে- চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ভারত ব্যবহার করতে পারায় একদিকে যেমন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে, তেমনি উপকৃত হবে ঢাকাও। এতে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে উৎপাদন এবং রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করছে ভারত। তাছাড়া, যে ট্রানজিট ফি বাংলাদেশ পাবে, তার পরিমাণও খুব ভাল।
ভারতের হিসাবে, ২০১০ সালে বাংলাদশের উন্নয়নে ভারতের সহায়তার মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার ডলারের কাছাকাছি। এ থেকেই বোঝা যায়, সম্পর্কের গতি গত এক দশকে দ্রুত বেড়ে চলেছে।