‘মিনিকেট নামে কোন চাল থাকবে না’
বাজারে মিনিকেট নামে কোন চাল থাকবে না বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি একটি ব্রান্ড, এই নামে চাল না থাকলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক মতবিনিময় সভায় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান ও প্যাকেটজাত মিনিকেট চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এসব কথা জানানো হয়।
প্যাকেটজাত নিত্যপণ্য (চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, লবণ ইত্যাদি) মূল্যের বিষয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় উৎপাদন বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সুপারশপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণ–আরএফএলের জ্যেষ্ঠ্য ব্যবস্থাপক (ব্যবসা পরিচালন) নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, 'অভিযোগ আছে মোটা চাল কেটে মিনিকেট চাল বানানো হয়। কিন্তু চাল ছেঁটে মিনিকেট চাল বানানোর এমন কোন যন্ত্র দেশে নেই। মিনিকেট একটি ব্রান্ড, এটি বাজারে অনেকদিন ধরে আছে। এখন এটা বন্ধ করা হলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'
এই প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'সাধারণত তো ধানের নামেই চালের নাম হয়। মিনিকেট নামে কোন ধান নেই, তাহলে এই চাল আসলো কোথা থেকে। আপনাদের (ব্যবসায়ী) কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনারা জানেনই না, এই চাল কীভাবে তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য আছে, মোটা চাল কেটে সরু করে সেটা মিনিকেট নামে বাজারে ছেড়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এখন আপনারা যেহেতু মানছেন না, বিষয়টি আপত্তি তুলছেন, আমরা চাল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসব। তারপর এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।'
সভায় সুপারশপ স্বপ্নের প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা মাহাদী ফয়সাল বলেন, 'বলা হচ্ছে, আমরা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগসাজসে প্যাকেটজাত পণ্যের দাম বাড়াচ্ছি। তবে এটার কোন সুযোগ নেই। আমরা এমন কোন কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। এ থেকে দায়মুক্তি চাই। অন্যথায় এটা আমাদের ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলছে।'
সভায় সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, 'এসব পণ্যের দাম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বা ভোক্তা কেউ বাড়ায় না। সরকার (ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন) নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং এর দায় সরকারের উপর বর্তায়।'