পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের পদ দেওয়ার দাবিতে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছেন নেতাকর্মীরাদের একাংশ, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে অবরোধ শুরু হলেও এর আগে ভোর ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহম দপ্তরেও তালা দেন তারা। এ কারণে চলাচল করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বাস এবং শাটল ট্রেন।
বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাসে রিকশা ও সিএনজি চলাচলও। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কার নেতাকর্মীরা এ অবরোধের ডাক দেন।
দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলকারী পদবঞ্চিতরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছিলো। মূলত তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছে তারা ।
তাদের দাবিগুলো হলো পদবঞ্চিত 'ত্যাগী ও পরিশ্রমী' কর্মীদের 'মূল্যায়ন' করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন,কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরীজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ষোলশহর স্টেশন মাস্টার ফখরুল পারভেজ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেনটি ষোলশহরে আসার পর অবরোধ করেছে। ৮টার ট্রেনটিও ঝাউতলা স্টেশন আসার পর আটকিয়ে দিয়েছে তারা। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।'
চবি পরিবহন দপ্তরের সহকারি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, ভোরে পরিবহন দপ্তরে তালা দিয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর থেকে পরিবহন দপ্তর থেকে কোনো শিক্ষক বাস বের হতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ছাত্রলীগের একাংশ ভোর থেকে অবরোধ করছে।
'তাদের দাবি সংগঠনের কাছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে কী করার আছে?তাদের কমিটির দাবি তো আমরা পূরণ করতে পারব না। এরজন্য তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ঠুনকো কারণে এভাবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলার এখতিয়ার তাদের নেই। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি,' বলেন সহকারি প্রক্টর।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই প্রায় ৩ বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।