এক এনআইডির বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম রয়েছে ৭.২৩ লাখ গ্রাহকের
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/25/sim_card_mobile_phone.jpg)
একক এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের ১৫টিরও বেশি সিম রয়েছে দেশের প্রায় ৭.২৩ লাখ গ্রাহকের। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে এ তথ্য।
এসব গ্রাহকের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি; বিটিআরসি, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) ডেটা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডেটাবেস ম্যাপিংয়ের পর এ তথ্য খুঁজে পেয়েছে।
বর্তমানে চারটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের অধীনে দেশের মোট মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৮.৪ কোটি।
একটি এনআইডি দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধনের নিয়ম রয়েছে। বিটিআরসি'র সচিব মোঃ নুরুল হাফিজ বলেন, নিয়ন্ত্রক কমিশন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে যেসব এনআইডির বিপরীতে ১৫টির বেশি অনিবন্ধিত সিম রয়েছে, সেগুলো ডিঅ্যাক্টিভেট (নিষ্ক্রিয়) করতে ডেটা যাচাই করছে।
"তবে যদি কোনো গ্রাহক তাদের ডিঅ্যাক্টিভেটেড সিমের বিরুদ্ধে আবেদন করেন, তাহলে বিটিআরসি তা যথাযথ নথির ভিত্তিতে বিবেচনা করে দেখবে", যোগ করেন তিনি।
বিটিআরসির সূত্রমতে, সাইবার ক্রাইম এবং আর্থিক জালিয়াতির মতো অনেক অপরাধ সংঘটনে অপরাধীরা একাধিক সিমকার্ডের ব্যবহার করে থাকে।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি থেকে ঘোষণা হয়, একটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্মনিবন্ধন সনদের অনুকূলে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।
তবে বিটিআরসি দেখে কিছু গ্রাহক এসব ডকুমেন্ট ব্যবহার করে ৭৫টি সিমও সাবস্ক্রাইব করেছেন!
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিটিআরসি আরেকটি নির্দেশনা জারি করে যেখানে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্মনিবন্ধন সনদের অনুকূলে সাময়িকভাবে দুটি করে সিম সংগ্রহের সুযোগ দেয়া হয়।
পরে নিয়ন্ত্রক কমিশন জানতে পারে, ব্যবহারকারীরা তাদের ১৭ ডিজিট এবং ১০ ডিজিটের এনআইডি কার্ড ও অন্যান্য আইডি ব্যবহার করে ৩৬টির মতো সিম সাবস্ক্রাইব করছেন।
এ বছরের ২১ এপ্রিল বিটিআরসি ১৭ ডিজিট এবং ১০ ডিজিটের এনআইডির ম্যাপিং শুরু করে; এ কর্মসূচীর প্রথম পর্বটি সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে উঠে আসে ৭.২৩ লাখ এনআইডির অনুকূলে ১.৯৯ কোটি সিমকার্ড রয়েছে।
এভাবে একটি এনআইডির বিপরীতে বিপুল সংখ্যক সিম নিবন্ধিত থাকায় বিটিআরসি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রায়শই অপরাধীদের শনাক্তকরণে সমস্যায় পড়ে।
এজন্যই বিটিআরসি তার ২৬৫তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৩০ নভেম্বর থেকে একটি এনআইডির বিপরীতে ১৫-এর বেশি সিম সাবস্ক্রাইব করা থাকলে তা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।