বিদেশি পর্যটকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক আসার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, "করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ ছিল। অবশেষে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক আসার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।"
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে সোমবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৬০তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, "বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন সনদ প্রদর্শন পূর্বক দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য বিধি মানা সাপেক্ষে ইতোপূর্বে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা যেতে পারে।"
ড. শহীদুল্লাহ টিবিএসকে বলেন, "আমাদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের।"
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মোহাম্মদ জাবের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আমরা আমাদের বিদেশি মিশনগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের তথ্য জানিয়ে দেব। এতে করে দেশে লেইজার ট্যুরিস্ট আগমন আবার শুরু হবে।"
পর্যটন দিবস উপলক্ষে ছাড় দিয়েছে হোটেল-মোটেল
দীর্ঘ দু'বছর কোভিডের প্রভাব শেষে আজ ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ডে উপলক্ষে নানা আয়োজন রাখা হয়েছে। এবারের উৎসবে রিথিংকিং ট্যুরিজম বা 'পর্যটনে নতুন ভাবনা' প্রতিপাদ্য নির্ধারিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন দিবসটি উপলক্ষে আগারগাঁওস্থ পর্যটন ভবনে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
এদিন সকাল ৭:৩০ টায় পর্যটন ভবন হতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন ছাড়াও বিপিসি এর হোটেল, মোটেল সমূহে আবাসনের উপর ২৭ সেপ্টেম্বর ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
সকাল ৭টা হতেই পর্যটন ভবনের নিচতলার উন্মুক্ত স্থান ও সম্মুখে রাস্তার আইল্যান্ডে খাবারের স্টলগুলোতে সংস্থার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত খাবারের বৈচিত্র্যময় রেসিপি ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানা রকম খাবার, পানীয় ও পিঠা-পায়েস ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেন্যুও উপস্থাপিত রয়েছে।
এই খাদ্য উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং খাবারগুলো স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করা হবে। আরো থাকবে লাইভ কুকিং শো।
বিপিসি ও ট্যুরিস্ট গাইড এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে গুলশান-বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় একটা রিক্সা র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাপকের ভ্রমণ ইউনিট কর্তৃক স্বল্পমূল্যে ও বিনামূলো শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ৩টি সিটি ট্যুর পরিচালিত হবে।
দিবসটি ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে আরও বেশি পর্যটক টানতে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যাল।
উৎসব চলাকালে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজের কক্ষভাড়ায় ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।