গাইবান্ধায় ভোট বন্ধ: আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ, অবরোধ
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচনী এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার বেলা ২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বিকেল ৩টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এ সময় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, 'সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভোট বন্ধ করাটা মেনে নেওয়া যায় না।'
এছাড়া বিকাল ৪টার দিকে দিকে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা-বোনারপাড়া সড়কের চৌমাথা মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান করে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় সবাই।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সবকিছু যাচাই-বাছাই না করেই ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ শেষ হওয়ার পর বিকাল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান। নির্বাচনে জোর খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমি বা আমার নেতা-কর্মীরা এমন কোনো কাজ করিনি যা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। পুরো বিষয়টিই আমার কাছে রহস্যময়। এটা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।'
মাহমুদ হাসান অভিযোগ করেন, যেসব কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ স্থগিত করে, তার অধিকাংশই জাতীয় পার্টির প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে কাজটি করেছেন। প্রথম যে ৪৪টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়, সেগুলো বাদে বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান মাহমুদ হাসান।
এর আগে আজ দুপুরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট জালিয়াতি ও ভোট কেন্দ্র থেকে বিরোধী পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপনির্বাচন 'নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে' বলার কয়েক ঘণ্টা পর এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।