ভোট বাতিল করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি: জি এম কাদের
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট জালিয়াতি ও ভোট কেন্দ্র থেকে বিরোধীদলীয় পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাপা। এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সহ মোট চার প্রার্থী একসঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন যে গোপন কক্ষের ভেতরে-বাইরে লোকজন যাওয়া আসা করছে।'
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের গাইবান্ধা-৫ আসনের জন্য আবার তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান তিনি।
বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, 'সকাল থেকেই প্রায় শতভাগ কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা। তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে, আবার ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে ভোটারের ইচ্ছার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এ সব কারণে, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে। এজন্য আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
এর আগে আজ দুপুরে অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধার ৪৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ আসনটিতে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ভোট শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনটির প্রার্থী নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৪ জন।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ১,২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।