হাসপাতালগুলোকে রোগীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংরক্ষণের নির্দেশ
দেশের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন নম্বরের রেকর্ড রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "রোগীদের বিস্তারিত তথ্যের রেকর্ড রাখার উদ্দেশ্যে, হাসপাতালগুলোকে রোগীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর উল্লেখের জন্য ভর্তির ফর্মগুলোতে একটি নির্দিষ্ট স্থান রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
নাম এবং ফোন নম্বরের পাশাপাশি, এখন থেকে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করানোর সময় তাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনপত্রের নম্বর দিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার জন্য এটি এখনও বাধ্যতামূলক নিয়ম নয়। কোভিড, ডেঙ্গু, ক্যান্সারসহ যেকোনো ধরনের সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগগুলোর ওপর নজরদারির জন্য তথ্যের প্রয়োজন হয়।
এছাড়া, গর্ভবতী মায়েদের তালিকাও সরবরাহ করতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য সরকার ভাতার ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং, এ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণ পরবর্তীতে মেডিকেল কার্ড প্রদানে সরকারকে সহায়তা করবে।
"তালিকায়, তাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনপত্রের নম্বর উল্লেখ করতে হবে আমাদের। তাই আমরা হাসপাতালগুলোকে রোগীদের এই তথ্য রেকর্ডে রাখার নির্দেশ দিচ্ছি," যোগ করেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, "আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে কতজন রোগী তাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিচ্ছেন তা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো।"
পরবর্তীতে, হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের তথ্য সরবরাহ বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান তিনি।