মেডিকেল টুরিস্টদের লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক হাসপাতাল চেইনগুলো ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে
দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে এদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক হাসপাতাল চেইনগুলো।
অ্যাপোলো, এভারকেয়ার, জাপানের গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই ও থাইল্যান্ডের থনবুরি হেলথকেয়ার গ্রুপের মতো হাসপাতাল চেইনগুলোর সহযোগিতায় অন্তত সাতটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এ ধরনের যৌথ উদ্যোগের ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিদ্যমান ৯৫ হাজার শয্যার সঙ্গে আরও ৩ হাজার শয্যা যুক্ত হবে। পাশাপাশি ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানান তারা।
প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে যায় তারা চিকিৎসা নিতে। তবে বাংলাদেশিদের জন্য শীর্ষ চিকিৎসা পর্যটন গন্তব্য হচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশিরা ২০১৯ অর্থবছরে ২.২ মিলিয়ন, ২০২০ অর্থবছরে ১.৬ মিলিয়ন, ২০২১ অর্থবছরে ১.৬ মিলিয়ন এবং চলতি ২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ০.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসাসেবার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করে।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতে গমনকারী মোট বিদেশি নাগরিকের ১৫.৭৫ শতাংশই ছিল বাংলাদেশি। এ সময় ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক গেছে বাংলাদেশ থেকে।
২০২১ সালে ২৪ লাখ বাংলাদেশি ভারতে গেছে। এর মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ গেছে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।
বিদেশি লজিস্টিকস ও প্রযুক্তিগত সহায়তা
স্থানীয় অংশীদাররা বলছেন, রোগীদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের সক্ষমতা বাড়াতে তারা মূলত বিদেশি হাসপাতাল থেকে লজিস্টিকস ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবেন।
কোভিড মহামারির আগে চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো দেশগুলোও বাংলাদেশে হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তবে এখনও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ও স্থানীয় আইচি মেডিকেল গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারত্বে ২০২৬ সালের মধ্যে ঢাকার পূর্বাচলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার নামে ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে জাপানভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রুপ গ্রীন হসপিটাল সাপ্লাই।
বাংলাদেশের আইচি মেডিকেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মোয়াজ্জেম হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সরকারের কাছ থেকে ৬ বিঘা জমি পেয়েছি। আনুমানিক বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকায়।'
হাসপাতালটি ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলেও জানান তিনি।
'আমরা এমন কিছু সেবা দিতে চাই যা বর্তমানে আমাদের দেশে একেবারেই নেই বা সীমিত পরিমাণে আছে। যেমন, আমরা প্রোটন থেরাপি চালু করব, যা বর্তমানে শুধু এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুরে আছে,' যোগ করেন তিনি।
শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল
একই স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোক্তারা গত আগস্টে 'বাংলাদেশে উন্নত জাপানি প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত ডাক্তারদের দিয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা' প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকার তুরাগে ৬৫০ শয্যার শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল আংশিকভাবে চালু করে।
হাসপাতালটি ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত হয়েছে। এই বিনিয়োগের ৫০.৫ শতাংশ করেছে জাপানের গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই, ৩৪.৫ শতাংশ করেছে আইচি মেডিকেল গ্রুপ ও ১৫ শতাংশ করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাল্টি-স্পেশালাইজড বেসরকারি হাসপাতালটিতে এখন আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ও এনআইসিইউ সুবিধাসহ ৩২০টি শয্যা রয়েছে।
তিনি জানান, হাসপাতালটি ৪৯৬টি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এর সবগুলো বিভাগ কাজ শুরু করার পরে কর্মসংস্থান ২ হাজারে দাঁড়াবে। 'বর্তমানে আমাদের ১০ জন বিদেশি ডাক্তার এবং নার্স আছেন।'
ড. মোয়াজ্জেম আরও বলেন, 'আমরা রোবটিক সার্জারি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।'
এদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে ঢাকার আপডেট ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগিতায় মদিনা আইচি ডেন্টাল সার্ভিসেস স্থাপনে জাপানি বিনিয়োগ আসছে।
হাত মিলিয়েছে চেন্নাইভিত্তিক অ্যাপোলো ও চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল
বিপুলসংখ্যক বিদেশগামী রোগীদের ধরতে চেন্নাইভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রুপ অ্যাপোলো হসপিটালস ৩৭৫ শয্যার অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য ইম্পেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড, চট্টগ্রামের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইম্পেরিয়াল হসপিটাল, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল হোসেন বলেন, 'আমরা আগামী জানুয়ারি থেকে যৌথভাবে সেবা দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছি।'
বাংলাদেশে বিদেশি হাসপাতাল স্থাপন করলেও ভালো ডাক্তার না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশেও মানসম্পন্ন চিকিৎসক আছেন, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য আমরা বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার পরিকল্পনা করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'তবে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে বাংলাদেশে সেবা দেয়া অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। এজন্য বিদেশের ডাক্তার দিয়ে আমাদের ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের সক্ষমতা গড়ে তোলার প্রতি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
'কিছু রোগীর জন্য বিদেশে যাওয়া সহজ নয়। আমাদের হাসপাতাল এই রোগীদের সাহায্য করবে।'
চট্টগ্রামের হাসপাতালটি পরিচালনা করে অ্যাপোলো একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা ফি ও সামগ্রিক আয়ের একটি অংশ পাবে।
১০ বছরের নবায়নযোগ্য চুক্তির আওতায় আশা করা হচ্ছে তারা সেকেন্ডারি ও কিছু টারশিয়ারি সেবা প্রদান করবে।
যুক্তরাজ্য, মরিশাস, মিশর, বার্বাডোজ, ভিয়েতনাম, ফিজি আইল্যান্ড, বাহরাইন ও নাইজেরিয়াসহ ২৫টি দেশে এই হাসপাতাল চেইনের শাখা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের থনবুরি হেলথকেয়ারের সঙ্গে হসপিটাল ফর সোসাইটি
এদিকে থাইল্যান্ডভিত্তিক থনবুরি হেলথকেয়ার গ্রুপ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে একটি 'হসপিটাল ফর সোসাইটি' স্থাপনে সহায়তা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
থনবুরি হেলথকেয়ার বাংলাদেশের ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতালে তথ্যপ্রযুক্তি ও অপারেশনাল সিস্টেম স্থাপন করতে সহায়তা করবে।
আন্তর্জাতিক অংশীদারের সন্ধানে ইউএস-বাংলা গ্রুপ
ইউএস-বাংলা গ্রুপ ঢাকায় পূর্বাচলে একটি হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'পূর্বাচলে একটি আন্তর্জাতিক মানের চেইন হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প উন্নয়নের কাজ চলছে। ভারতের বেশ কয়েকটি চেইন হাসপাতালের সঙ্গে কথা চলছে। তবে এখনও তাদের কারও সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি।'
এই মুহূর্তে বুনিয়াদি কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আশা করি আগামী তিন বছরের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ করা যাবে।'
চালু হয়েছে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম
এভারকেয়ার গ্রুপ গত ১০ অক্টোবর তাদের সর্বশেষ উদ্যোগ এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। এটি বন্দরনগরীর প্রথম মাল্টিস্পেশালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল।
এভারকেয়ার হাসপিটাল চট্টগ্রামে ৪৬০টি শয্যা, একটি সম্পূর্ণ সজ্জিত ২৪/৭ জরুরি বিভাগ, অত্যাধুনিক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) ও ২৭টি স্পেশালিটি ও সাব-স্পেশালিটি রয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার আশা
বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশের বেশি রোগী বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সেবা নিলেও প্রাইভেট হাসপাতালের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নিবন্ধনবিহীন অনেক হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা প্রতারিত হয়। লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রায়ই অভিযান চালায়।
এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ভালো হাসপাতালের চেইন বাংলাদেশে এলে রোগীরা অন্তত মানসম্মত সেবা পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ টিবিএসকে বলেন, 'বিভিন্ন দেশের বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে তাদের শাখা খুললে, এখানে বড় বিনিয়োগ হবে, টেকনোলজি ট্রান্সফার হবে, আমাদের দেশের ডাক্তার-নার্সদের কাজের সুযোগ হবে। পাশাপাশি উন্নত পরিবেশে আমাদের রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারবে। ক্রিটিক্যাল যেসব রোগীর দেশের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, তারা এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে।'
তবে বেসরকারি এসব হাসপাতালের শাখা বিদেশগামিতা কমাতে এখনই খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। 'কারণ বাংলাদেশের রোগীরা বিদেশে যায় আস্থার সংকটের কারণে।'
'এখানে ডাক্তারদের ব্যবহার, টেস্টের মান নিয়ে অসন্তোষ, দেশে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে রোগীরা বিদেশে যায়। এসব চেইন হাসপাতাল রোগীদের আস্থা অর্জন করতে পারলে হয়তো বিদেশগামিতা কমবে,' যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক হামিদ পরামর্শ দেন, বিদেশি চেইন হাসপাতালগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক না হয়ে ঢাকার বাইরে যাতে স্থাপন করা হয় সে বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা থাকতে হবে।
এই হাসপাতালগুলো ঢাকার বাইরে হলে রোগীদের ভোগান্তি ও খরচ কমবে এবং ঢাকার বাইরের বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রোগীদের বিদেশে যাওয়ার হার কমবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের জন্য দায়ী নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ।
দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক), কিডনির রোগসহ বিভিন্ন ধরনের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বাড়ছে। এসব রোগের চিকিৎসায় দেশে পর্যাপ্ত হাসপাতাল নেই, ডায়াগনোসিস সুবিধা অপর্যাপ্ত।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মুবিন খান টিবিএসকে বলেন, বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য আরো অনেকগুলো বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রয়োজন।
চেইন হাসপাতালের সংখ্যা বাড়লে স্থানীয় হাসপাতালগুলোর মধ্যেও মান উন্নত করার প্রতিযোগিতা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কয়েকটি দেশের বিদেশি হাসপাতাল স্থাপনে কোনো অগ্রগতি নেই
২০২০ সালে চীন, তুরস্ক ও সৌদি আরব বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়।
সৌদি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন ও চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এদেশে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সূত্র টিবিএসকে জানিয়েছে, গত দুই বছরে এসব প্রস্তাবের অগ্রগতি সামান্যই।
বিডার সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'চীনা বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চীনা পক্ষের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করার পর মন্ত্রণালয় আমাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে। কিন্তু এরপর চীনা পক্ষ আর কোনো আগ্রহ দেখায়নি।'
অন্যদিকে সৌদি আরবের ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন সরকারের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায় বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতি বছর ৪ লাখ মানুষ চিকিৎসা সফরে যায়
বাংলাদেশি মেডিকেল ট্যুরিস্টরা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় যায় ভারতে। ভারতীয় হাই কমিশন ২০১৯ সালে ২.৫০ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ভারতে ২০০৯ সালে চিকিৎসা নিতে বাইরের দেশ থেকে যত মানুষ গেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশির হার ছিল ২৩.৬ শতাংশ। দশ বছর পর ২০১৯ সালে ভারতে মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭.৫ শতাংশে। আনুমানিক সোয়া ৪ লাখ রোগী প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার নিতে যায়।