গ্রেপ্তার আতঙ্ক, গৌরনদীর বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় ফিরতে ভয় পাচ্ছেন
শনিবার সকালে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় বরিশালের গৌরনদী থানায় মামলা হয়েছে।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ইশরাক সহ গৌরনদী উপজেলার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার খুব সকালে ইশরাকের গাড়িবহর গৌরনদী অতিক্রম করার সময় আক্রমণের শিকার হয়।
এরই মধ্যে পুলিশ বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে এই মামলায় গৌরনদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারী গৌরনদী উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকায় ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। বেশিরভাগ নেতারাই সমাবেশ শেষে এলাকায় ফেরেননি, জানিয়েছেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
তিনি বলেন, 'ইশরাকের গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। গৌরনদী বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দিয়েছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে গৌরনদীর নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ হলেও বাড়ি ফিরতে পারছেন না।'
জহির উদ্দিন স্বপন আরো জানান, গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একবার গৌরনদী গিয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি আর এলাকায় যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, 'যেখানে নেতারাই যেতে পারছেন না, সেখানে কর্মীদের অবস্থা একটু ভাবুন তো কি হতে পারে।'
অপরদিকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, 'ইশরাকের নেতৃত্বে তার দলের লোকেরা আমাদের দলীয় কার্যালয়, দোকান ও নেতাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়ে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।'
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি বাদী হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৌরনদী থানায় মামলাটি করেছেন।