বন্ধ নয়, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার: ওবায়দুল কাদের
সারা দেশে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল বন্ধ না করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আপাতত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এসব যান কঠোর মনিটর করা হবে। সে লক্ষ্যে একটি নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা- সিলেট এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম এই মহাসড়কে প্রাথমিকভাবে এই পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনে ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২২ মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও এখন অবস্থান পাল্টেছে সরকার। লোকবলের অভাবে সব সড়কে নিবিড় তদারকি সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার চেয়ে নিয়ন্ত্রণটা কীভাবে করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে গুরুত্বটা বেশি দিচ্ছি। এই জনবহুল দেশে এটি (থ্রি হুইলার) বহু বেকারের কর্মসংস্থান।"
তিনি বলেন, "পুলিশ এবং লোকবল অত বেশি নেই যে সারাদেশে এটা মনিটর করবে। আপাতত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সড়কে মনিটর করা হবে। ধীরে ধীরে বাড়বে। এর ওপরে একটা নীতিমালা করা হচ্ছে।"
সড়ক নিরাপত্তায় ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প
সড়ক নিরাপত্তার জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির ডিপিপি এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই তা একনেক সভায় যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, "সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ওই প্রজেক্টের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।"
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেশে ৭০৮টি দুর্ঘটনায় ৮৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৭ জন আহত হয়েছেন।
এরমধ্যে ৩০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৪৮জন, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ৪১ শতাংশ।
ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে এখন আর বিআরটিএ কার্যালয়ে যেতে হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। অনলাইনে ঘরে বসেই এই আবেদন করা যাবে।
"আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন, তারা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। শুধু একবার তাকে পরীক্ষার জন্য বিআরটিএর কার্যালয়ে আসতে হবে", জানান ওবায়দুল কাদের।
'আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন'
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষে একজন মারা গেছে- এমন একটি খবরের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী সেটিকে মিথ্যা খবর বলে উল্লেখ করেন।
মৃত ব্যক্তি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, "একটা লোক দুবাই থাকে। সে দেশে এসেছে। সে তার বাড়িতে ছিল। বাড়ি ওখান থেকে অনেক দূরে। সম্মেলনে ঘটনা ঘটেছে ১ টায়। তিনটা বাজে তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি, এর সঙ্গে সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।"
"এটা মিথ্যা; এটা ভুল। আমাদের সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটা আমার অনুরোধ," যোগ করেন মন্ত্রী।