এনআইডি ইসিতে রাখতে কর্মবিরতির ঘোষণা কর্মকর্তাদের
জাতীয় পরিচয়পত্র ধরে রাখতে এবার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনআইডি ইসিতে রাখার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হলে ৫ তারিখ থেকে কালোব্যাজ ধারণ ও ৮ ডিসেম্বর থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় তারা।
এরমধ্যেও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেয় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের এই সংগঠন।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দেয়া এক চিঠিতে এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।
এছাড়া চিঠিতে ইসিতে শূন্য পদ পূরণ ও ইভিএম প্রকল্পে লজিস্টিকসহ যেন সরকার অনুমোদন দেয় সে ব্যাপারেও কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
পরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, 'বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৬ শে নভেম্বর একটি মিটিং করেছে। সেই মিটিংয়ে তারা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তগুলো আমাদেরকে অবহিত করেছেন। সেটা নির্বাচন কমিশন ও কমিশনের সচিবকে বলেছেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগকেও তারা পর্যায়ক্রমে পাঠাবেন।'
এনআইডির বিষয়টি একটি সরকারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, 'কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে আমাদের সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটার সাথে এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও একমত হয়েছেন।'
শূন্য পদগুলো পূরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই পদোন্নতি এবং শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
ইভিএমের লজিস্টিক প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ' এজন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে এখন এটি একনেকে উঠবে। তারপর তারা যেটা অনুমোদন দেবে তখন বলা যাবে। একনেকের অনুমোদনের আগে কোন কিছু বলাই যৌক্তিক হবে না।'