চারটি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি চালু করেছে ডিজিএইচএস
এক ছাদের নিচে ইমার্জেন্সি রোগীর অত্যাধুনিক সব সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ লক্ষ্যে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে প্রথম পর্যায়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসাপাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, মিডফোর্ড হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মডেল হিসেবে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি চালু করা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সার্ভিস (ওসেক) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, "এটি চালু হলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর প্রেশার কমবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মৃত্যুহারও কমে যাবে। এ জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
মন্ত্রী বলেন, "হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যদি সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে আমাদের দেশের অনেক মৃত্যু কমানো সম্ভব হবে। উন্নত বিশ্বে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ইমার্জেন্সি সার্ভিসের কারণে স্ট্রোক, সড়ক দুর্ঘটনা, হার্ট অ্যাটাকের মত জটিল অনেক রোগী বেঁচে যায়। ৫ মিনিট আগেও যদি প্রোপার ট্রিটমেন্ট দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে কিন্তু আমাদের দেশের অনেক মৃত্যু কমানো সম্ভব।"
অনুষ্ঠানে ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড আহমেদুল কবির বলেন, "রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সেটা কিন্তু ইমার্জন্সি সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট নিয়েই হয়ে থাকে। আমাদের যদি প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী ইমার্জেন্সী সার্ভিস থাকে তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।"
"প্রথম পর্যায়ে আমরা চারটি হাসপাতালকে মডেল হিসেবে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করা হবে। ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি থেকে অধিকাংশ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেন শেষ হয় সে লক্ষ্যে আমরা আধুনিক ও প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছি। যদি এগুলো ব্যবহার করা যায় তাহলেই ওসেককে অর্থবহ করা যাবে।"
ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করেছে ইউএসএইড, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।