স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডি হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান: মন্ত্রী
ভোটার হওয়া ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারে ইসির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তাই বাস্তবতার নিরিখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এনআইডি নির্বাহী বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তরে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীর অধীনে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রমটি শুরু হয়। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম শুধুমাত্র ভোটার বা ১৮ বছরের বেশি নাগরিকের জন্য নয় বরং সব নাগরিকের জন্য প্রাসঙ্গিক। এছাড়া ব্যাংক হিসাব খোলা, চাকরির আবেদন, ইউটিলিটি সংযোগ, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন বিভিন্ন ভাতার আবেদন, খাসজমি প্রাপ্তির আবেদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয় মাত্র একটি। অন্যান্য ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বিষয়ে ইসির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীনে হয়ে থাকে। বাস্তবতার নিরিখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত এবং এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।