বিকল্প পথে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার জাহাজ ' উরসা মেজর' এর পরিবর্তে কেন্দ্রটির মালামাল বিকল্প পথে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।
রূপপুরের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটমের বরাত দিয়ে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস গত মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে। মস্কো থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি জাহাজটিতে আসা মালামাল ভারত এবং বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না পেরে ফেরত যায়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিলম্বের ফলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, 'ফিরে যাওয়া রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল বিকল্প একটি জাহাজে আসছে। এ বিলম্বের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে কোনো প্রভাব পড়েনি।'
উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর ছেড়ে আসে। গত ২৪ ডিসেম্বর জাহাজটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই জাহাজ বাংলাদেশে আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে জানায়, 'উরসা মেজর' নামে জাহাজটি আসলে 'স্পার্টা থ্রি' নামে রাশিয়ার মালিকানাধীন একটি জাহাজ। এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। এই জাহাজটিকেই নাম বদলে নতুন নাম 'উরসা মেজর' হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া আছে। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন জাহাজকে বাংলাদেশে ভিড়তে দিলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে পণ্য খালাসের চেষ্টা করে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এজেন্ট সেখান থেকে পণ্য বাংলাদেশের রূপপুরে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে অনুমতি না পাওয়ায় তাও সম্ভব হয়নি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের রেশে রাশিয়ান জাহাজের বিরুদ্ধে মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশও ৬৯টি রাশিয়ান জাহাজের বন্দরে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে।