বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ব্যবসা, বিনিয়োগকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আজ সকালে 'বাংলাদেশ বিজনেস সামিট' এর উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ আয়োজনে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)।
যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভূটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং দুইশোরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আলকাসাবি, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কারমা দরজি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডোর জিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআই-এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বের সামনে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত তৈরির সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হবে।
সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব অফিসে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এফবিসিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, "দেশে বিনিয়োগ আনার সক্ষমতা ছিল না। এখন সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ওয়ালমার্ট, জারা'র মতো কোম্পানি কলকাতায় চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও বড় হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "দেশে এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।"
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি-বেসরকারি খাতসহ এবারের সম্মেলনে ১৭টি দেশের ২ শতাধিক ব্যবসায়ী নেতারা আসছেন। এরমধ্যে বিশ্বের নামকরা ১২টি কোম্পানির সিইও কিংবা শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকছেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে ১২টি দেশের মন্ত্রীবর্গ অংশ নেবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "সার্বিকভাবে কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা কেবল বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশেও রয়েছে। আমরা এসব সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।"
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক সম্ভাবনার খবরও পাওয়া যায়। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি হবে বলে মনে করছে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ। আর এইচএসবিসির মনে করছে, বাংলাদেশ হবে নবম বৃহত্তম বাজার।
বাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিন দিনের সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড. এম মাশরুর রিয়াজ, এফবিসিসিআই'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, আমিন হেলালি, হাবিব উল্লাহ ডন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।