‘একটি টাকাও হজম করতে দেব না’: ডিবিবিএল'র টাকা ডাকাতির মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালত
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) টাকা পরিবহনের গাড়ি ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তিরস্কার করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
রোববার (১২ মার্চ) আসামিদের জামিন শুনানির সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো: সাজু মিয়া বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আদালতে দাখিল করেন। তবে এর আগে একই দিনে ডিবি প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, ডাকাতি হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
গণমাধ্যমে ডিবি প্রধানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, "বাকি টাকা কোথায়? ডাকাতদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি টাকাও আমি হজম করতে দেব না।"
৯ মার্চ সাভার ইপিজেড এলাকায় এটিএম বুথে টাকা রাখতে যাওয়ার পথে ডিবিবিএলের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকাসহ উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে ছিনতাই হয় মানিপ্ল্যান্টের মাইক্রোবাস।
ওইদিন রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবি করেন ডিবি প্রধান। তবে টাকা গোনার পরে পুলিশ জানায়, সেখানে মাত্র ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ডিবি প্রধানের এমন বক্তব্য সমালোচনার জন্ম দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবী গাজী হাসান মাহমুদ জানান, জব্দ তালিকার অসঙ্গতি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে আবেদন জানান, তিনি শীঘ্রই জব্দ করা টাকার আরেকটি তালিকা জমা দেবেন। পরের দিন সোমবার (১৩ মার্চ) তিনটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেন তিনি, যেখানে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
রোববার তদন্ত কর্মকর্তা ৮ ডাকাতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডাকাতদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।