নতুন করে তিস্তার পানি প্রত্যাহারের খবরটি যাচাই করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দুটি খাল খননের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক তিস্তা নদী থেকে নতুন করে পানি প্রত্যাহার করার খবরটি বাংলাদেশ যাচাই করছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, 'তিস্তা-সংক্রান্ত খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খাল খনন-সংক্রান্ত বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং খবরটির সত্যতা যাচাই করছি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক সেটি বিবেচনায় রেখে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব।'
গত ৪ মার্চ ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ তিস্তা ও জলঢাকা থেকে পানি প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি নতুন খাল খননের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেচ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার একর জমি হস্তান্তরের খবর প্রকাশ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সিকিম থেকে শুরু করে তিস্তার ওপর ৪২টি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।
নদী গবেষকরা বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের আরও দুটি খাল খননের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
নির্বিচারে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল শুষ্ক হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।