মৌলভীবাজারে ২২টি জীবিত ও মৃত পাখিসহ চোরাশিকারি আটক
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে জবাই করা ১০টি মুনিয়া ও একটি বুলবুলি এবং জীবিত ১১টি মুনিয়া ও পাখি ধরার সরঞ্জামসহ এক চোরাশিকারিকে আটক করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
পরিবেশবাদী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এন্ডেঞ্জারড ওয়াইল্ডলাইফ (এসইডব্লিউ)-এর সহযোগিতায় শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া এলাকা থেকে এসব শিকার উদ্ধার ও শিকারিকে আটক করা হয়।
অভিযানের সময় আরও দুই শিকারি পালিয়ে যান। আটক হওয়া শিকারির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
আটককৃত শিকারি একই ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামের তাজ বক্সের ছেলে আনছর আলী (৫০)। পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলেন আশরাফুল মিয়া ও আজিবুর।
এসইডব্লিউ-এর সোহেল শ্যাম বলেন, 'শিকারিরা এ পাখি শিকার করলে তা যায় প্রভাবশালীদের ঘরে। যার কারণে অবাধে চলছে শিকার।'
তিনি জানান, শিকারিদের ফাঁদ পাতার খবর পেয়ে তিনি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে জানান।
এরপর অভিযানে কুরমা চা বাগানের বাঘাছড়া হাওড় হতে শিকার করার সরঞ্জাম, একটি দা, দুটি বাইসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই শিকারি পালিয়ে গেলেও আনছর আলীকে আটক করা হয়।
পরে উদ্ধার করা জীবিত ১১টি মুনিয়াকে অবমুক্ত করা হয়।
শহিদুল ইসলাম জানান, এর আগে গত ১৮ মার্চ একই এলাকা থেকে জবাই করা ৩৮টি মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। সেসময় শিকারিরা পালিয়ে যায়।