রেকর্ডের পর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ফের ১৫,০০০ মেগাওয়াটের নিচে নেমে এল
১৩ এপ্রিল দেশ রেকর্ড ১৫ হাজার ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাইলফলক অতিক্রম করে। তবে শনিবার সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ফের ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে এসেছে।
অফিশিয়াল সূত্রে জানা গেছে, রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার প্রথম ইউনিট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিক ও পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দেশে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অফিসিয়াল রেকর্ড বলছে, শনিবার রাতে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
বিপিডিবি রবিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে যে, রোববার দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ১৬ হাজার মেগাওয়াট হবে এবং সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াট ও প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে।
বিপিডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সরকার গত সপ্তাহে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে।
বিপিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'চাহিদা বাড়ার কারণে গত সপ্তাহ থেকে আমরা কিছু ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছি।'
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের জুলাই মাসে সরকার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন স্থগিত করে।