ট্রলারে ১০ মরদেহ: জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম বললো কামাল
কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এ নিয়ে ৩ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ি এলাকার ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদারকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদের আদালতে আনা হলে করিম সিকদার কোন জবানবন্দি প্রদান করতে রাজি হননি। তবে বাইট্টা কামাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কামালের জবানবন্দি নেন বিচারক।
বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস। তবে তিনি বলেছেন, জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম প্রকাশ করেছেন কামাল।
এর আগে রবিবার বাঁশখালীর ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
এদিকে এ মামলায় গত ২৫ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে।
রবিবার দুপরে কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞা এ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মুনিরকে যে কোন সময় রিমান্ডের জন্য পুলিশ নিয়ে যাবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্জয়।
গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান ট্রলারটি নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে আরও ৪ জনের মরদেহ ও একটি কংকাল। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ ৫ জনের পরিচয়।