আবহাওয়ার খেয়াল: পঞ্চগড়ে দিনে তীব্র গরম, রাতে শীতের মতো কুয়াশা!
বৈশাখের প্রচণ্ড দাবদাহে দিনে-রাতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিল পঞ্চগড়ের মানুষ। এরইমধ্যে সোমবার থেকে দেখা গেল ঠিক উল্টো আবহাওয়া। সোমবার রাত থেকেই কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে পঞ্চগড়ে। মঙ্গলবার (২ মে) ভোর থেকে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিল জেলা। সঙ্গে ছিল মৃদু বাতাস।
কুয়াশা ভেদ করে সূর্য দুয়েকবার উঁকি দিয়েছিল, কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্য। সকাল নয়টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করেছে সেখানে। তবে বেলা বাড়ার পর ধীরে ধীরে কুয়াশা কাটছে। এর আগে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। গ্রীষ্মকালের তীব্র গরমে এমন শীতকালীন ধাঁচের আবহাওয়াকে অনেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করেছেন; অনেকে আবার একে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনা বলেও মনে করছেন।
জেলার ডোকরোপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া স্মৃতি বলেন, "আজকের ভোরের দৃশ্যটা ছিল পুরোপুরিই শীতকালের মতো। হঠাৎ করে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন অবাক করার মতো!"
মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় অসহনীয় গরমে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। তবে আবহাওয়ার এমন আকস্মিক রূপ পরিবর্তনে অবাক হয়েছেন অনেকেই। জেলার প্রবীণরাও আবহাওয়ার এরকম বৈপরীত্য আগে কখনও দেখননি।
ময়দানদিঘী ডিগ্রী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শেখ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "বৃক্ষ নিধন, বেপরোয়া ইট ভাটা স্থাপন, পরিবেশ দূষণ, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়াসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এমন রূপ দেখা যেতে পারে।"
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ জানান, বাহ্যিক চোখে কুয়াশা মনে হলেও এটি আসলে ধূলিকণা। সারাদিন ভূপৃষ্ঠের ধুলোবালি আকাশে উড়ে রাতে জলীয়বাষ্প হয়ে যায়। যেগুলো মাটির ওপরে থাকে। এটাকে কুয়াশা মনে হয়।
"পরিবেশ দূষণের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে," বলেন তিনি।
এদিকে, আজ তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।