ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংস্কার করা হবে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল হবে না, তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনটি সংস্কার করা হবে। আর সে জন্যে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, 'আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না, তবে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তেমন কিছু সংশোধন আনা হবে।'
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আজ বুধবার (৩ মে) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত 'শেপিং এ ফিউচার অব রাইটস' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। টিআইবির মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আনিসুল হক বলেন, "জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের একটা টেকনিক্যাল নোট পাঠানো হয়েছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি, তারা আইনের কিছু ধারা বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। যদিও তা নিয়ে আমাদের মতভেদ রয়েছে, তারপরও আমরা বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংশোধনীটা করব।"
গত বছরের জুনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা যাবে না বলে দাবি তোলে সম্পাদক পরিষদ।
এবিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, "দেশে প্রচলিত আইনে বহু ধারা রয়েছে যাতে সাংবাদিকেরা সুরক্ষা পান।"
আইনমন্ত্রী বলেন, এই আইনে এখন মামলা হলেই তা গ্রহণ করা হয় না। আগে অভিযোগ একটি বিশেষ সেলে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়, এরপর আদালতে মামলা দাখিল করা হয়। সেলকে বলা হয়েছে অযথা সাংবাদিকদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।
আনিসুল হক বলেন, "এই আইনটি প্রণয়নের পর কিছু অপব্যবহার হয়েছে, এটি আমার ও সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে। এখন এই অপব্যবহার কমিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে।"
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সমস্যা দূর করে এটাকে সর্বসাধারণের আইন করা হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনোই গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে।