সেন্ট মার্টিনে হালকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের স্রোত
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম। তিনি জানান, সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, পরিবেশ গুমোট। সাগর স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে একটু বেশি উত্তাল। তবে পানি বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
বেলা ২টার পর থেকে দ্বীপের বাসিন্দারা একে একে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের সহযোগিতা করছেন। দ্বীপের ২টি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, আবাসিক প্রতিষ্ঠানসহ ২২টি দ্বিতল ভবন, ১৩টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ভবন মিলে মোট ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বীপে অবস্থানরত ৭০০ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। অন্যান্যদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে।
দ্বীপের বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, দ্বীপের অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সার্বিকভাবে সবাই-ই আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রশাসনের আলাদা প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সবাইকে আনা হচ্ছে।