গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: জায়েদা খাতুনের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর
নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র (বরখাস্ত) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ নগরীর ৪৪ নং ওয়ার্ড গোপালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যান সুলতান মিয়াসহ ৫/৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মো. ফাহিম নামে জায়েদা খাতুনের এক সমর্থক বলেন, 'বিকালে আমরা কয়েকজনসহ মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে আসলে নৌকার ব্যাজ পরিহিত কিছু লোক গাড়ির সামনে এসে ঝামেলা শুরু করেন। এসময় জাহাঙ্গীর ভাই (জাহাঙ্গীর আলম) তাদেরকে শান্ত থাকার অনুরোধ করলেও তারা হঠাৎ করে লাঠিসোঁটা নিলে এলোপাতাড়ি হামলা শুরু করে। এসময় জাহাঙ্গীর ভাই ও তার মাকে বহনকারী গাড়িটি ভাঙচুরের পাশাপাশি তারা ক্যামেরাম্যান সুলতানকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করে ও তার কাছ থেকে দুটি ক্যামেরা নিয়ে যায়।'
'ঘটনার পরপরই থানায় টঙ্গী পূর্ব থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, এছাড়া আহত ৫/৬ জনের মধ্যে ক্যামেরাম্যান সুলতানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে', তিনি যোগ করেন।
ঘটনার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লার সমর্থক ও অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জায়েদা খাতুনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমার মাকে হত্যা করতেই হামলাকারীরা আমাদের গাড়িতে ইট, রড দিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই এটা কী ভোট? একজন প্রার্থীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে প্রচারণার সময়। আমাদের আশেপাশে যারা ছিল তাদের সবাইকে মারধর করা হয়েছে, এভাবে তো নির্বাচন হতে পারে না, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে না।'