নাইকো দুর্নীতি মামলা: ১৫ বছর পর খালেদা জিয়ার বিচার শুরু
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ১৫ বছর স্থগিত থাকার পর মঙ্গলবার (২৩ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ জজ আদালতে এ বিচারকাজ চলছে। বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক বাদী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আদালত আগামী ২০ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১৯ মার্চ খালেদ জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মইনুল হক, সাবেক বাপেক্স সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকো দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
একেএম মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় ১৯ মার্চ মামলা থেকে মুক্তি পান।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়া ও অন্য চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
২০০৮ সালের মে মাসে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করে দুর্নীতি দমন সংস্থা।
খালেদা জিয়াসহ মামলার অন্য আসামিরা হাইকোর্টে আবেদন করেন, যার ফলে প্রায় ১৫ বছর বিচার স্থগিত থাকে।