শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনকারী তার দল আওয়ামী লীগকে সাফল্যের কৃতিত্ব দেন তিনি।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, "২০০৮ সালে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়ার পর তার সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা দারিদ্র্যের হার ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, সাক্ষরতা ও আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে জনগণের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ প্রয়োজন এবং তা সবাইকে মনে রাখতে হবে।"
বৈশ্বিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার নিন্দা জানিয়ে তিনি ভারত ও মিয়ানমারের মতো সংলাপের মাধ্যমে সব বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, "এখন কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা (চলছে), অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে তা ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য কেন ব্যবহার করা হবে না। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য সারা বিশ্বে হাজার হাজার শিশু ও নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে।"
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাঙালিদের গণহত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। কোনো ধরনের অস্থিরতা (পৃথিবীতে) থাকবে না।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের তাদের (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) বাধা অতিক্রম করতে হবে।"
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে কোনো ধরনের অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না।