বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের অধিকতর উন্নয়ন।
চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং এর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা বলেন, 'দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।'
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, 'এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।'
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে সরকার। তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।
শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান চীনের উপমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত অবস্থায় দেখেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরো পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারি চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালাতে মহামারির পর চীনে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এম্বাসেডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং দুই দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার রাতে ঢাকা এসেছেন।