ভোটারের উপস্থিতিতেও ভোট কম খুলনায়
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চলছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে সাড়ে ৭টায় এসে লাইনে দাঁড়ান আসমা আক্তার। বেলা ১০টা পর্যন্তও তিনি ভোট দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, 'সকাল থেকে এসে রোদে দাঁড়িয়ে আছি। শুধু আমাদের লাইন বড় হচ্ছে, তবে ভোটার কমছে না।'
এক ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি ভোট দিতে পারছেন না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে, সেখানে মোট ভোটার ২ হাজার ১৯ জন। প্রথম ঘণ্টায় ভোট পড়েছিল ২৫টি।
একই অবস্থা দেখা গেছে, ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে। সেখানের ভোটার ২ হাজার ৯৪ জন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ১৭০টি। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি।
প্রিজাইডিং অফিসার মিঠুন সরকার বলেন, ইভিএমের কারণে অনেক ভোটার বুথে গিয়ে ভোট দিতে দেরি করে ফেলছেন, তার কারণে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'ভোটারের উপস্থিতি ভালো হয়েছে, তবে এখন ভোটগ্রহণে একটু গতি এসেছে।'
একই অবস্থা সরকারি এম এম সিটি কলেজ কেন্দ্রে। প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫টি। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শতাধিক ভোটার। একই অবস্থা পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকও ওই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন।
তবে সেখানে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আরিফ উদ্দীন বলেন, এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৫২৫ জন। এখন পর্যন্ত ভোট পড়ার হার খুবই কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।