কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমোদন দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমোদন দিল কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁচা মরিচ শুকিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়ার চার দিন পর নিত্যদিনের এই মসলাপণ্যটি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
রোববার ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৬০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। দেশের বাজারে উচ্চ মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার ৬০০ টন টমেটো আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেশ বেড়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এসব কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে পাওয়া যেত।
রোববার প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা দরে, যেটা একমাস আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
যদিও রোববার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। একইসাথে টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
সম্প্রতি সারা দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা মরিচের খেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকালে মরিচ খেত থেকে কেউ মরিচ তুলতে যেতে পারে না। মরিচের দাম বাড়লে সবাই চিৎকার করে। সবাইকে আহ্বান করব এখন থেকে মরিচ কিনে রোদে শুকিয়ে রেখে দেন। বর্ষাকালে দাম বাড়বে, তখন সেখান থেকে খাওয়া যাবে।
দেশের ব্যবসায়ীরাও দাবি করছেন, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। একদিকে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম, অন্যদিকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাড়তি চাহিদার কারণে বাজারে শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি শুকনো মরিচ ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা এবং আমদানি করা শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।