সেন্টমার্টিন নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিষয়ে উত্থাপিত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
সোমবার (২৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলন চলাকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেন, তাদের এ দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কোনোরূপ পরিকল্পনাও নেই।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি দেশের জাতীয় সম্পদ বিক্রি বা দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করবেন না।
বুধবার (২১ জুন) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাই না।"
তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য বিরোধী দল বিএনপিকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, "বিএনপি ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করতে চায়। তারা সেন্টমার্টিন বিক্রির অঙ্গীকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়।"
বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্বীপটি বিক্রি করতে চায়- প্রধানমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন উল্লেখ করে তাকে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, "আমি শুধু এটাই বলবো যে এ তথ্য সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে আমরা কখনো কোনো আলোচনায় জড়াইনি।"
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনের সময় স্পষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ করেননি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাঙ্গে তাদের অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে বলে উল্লেখ করেন ম্যাথিউ মিলার। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনসহ গণতন্ত্রের বিকাশে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে এই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আশাব্যক্ত করেন তিনি।