বেনাপোল বন্দরে ভ্রমণকর ১,০০০ টাকা কার্যকর
শনিবার (১ জুলাই) থেকে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে চলাচল করা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণকর বাবদ ১,০০০ টাকা করে নিচ্ছে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক বুথ। এর আগে ভ্রমণকর বাবদ যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হতো।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, "২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্রমণকর ১,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে বেনাপোল বন্দরে কার্যকর হয়েছে। আগে ৫০০ টাকা কর পরিশোধ করে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করতে পারতেন।"
বর্তমানে প্রতিদিন দিয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি যাত্রী ভারতে চিকিৎসা, লেখাপড়া, ভ্রমণ, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ ও আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যেতে যশোরের বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করেন। ভারতীয় নাগরিকরাও একইভাবে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
বেনাপোল বন্দরের অনেক যাত্রী বর্ধিত এই কর বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ভ্রমণকর দ্বিগুণ করায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা।
ভারতীয় যাত্রী কৃষ্ণপদ বলেন, "গত ২০ জুন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলাম। আজ ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যাংকে কর জমা দিতে গেলে ১,০০০ টাকা ভ্রমণকর পরিশোধ করতে হয়েছে। সাথে আরও পোর্ট ফি ৫২ টাকা নিয়েছে। মোট ১০৫২ টাকা দিতে হলো। একমাস আগে যখন এসেছিলাম তখন নিয়েছিল ৫৫২ টাকা।"
এ সময় অধিকাংশ যাত্রী ভারত ভ্রমণে বর্ধিত ভ্রমণকর প্রত্যাহারের দাবি জানান।
কাস্টমসের একটি সূত্র জানায়, ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ভ্রমণকর অর্ধেক করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী যাত্রী, অন্ধ ব্যক্তি, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বা স্ট্রেচার ব্যবহারকারী বা পঙ্গু ব্যক্তিরা ভ্রমণকর ছাড়াই ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন।
অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোতেও বর্ধিত কর আদায় করা হচ্ছে।