৬৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো ৬ষ্ঠ জাহাজ
কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৫ হাজার ২০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি জেটিতে ভিড়েছে কয়লাবাহী একটি বড় জাহাজ।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে জাহাজটি সফলভাবে ভেড়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য আনা হয়েছে এসব কয়লা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকি টিবিএসকে বলেন, সাইপ্রাস পতাকাবাহী এমভি এলএমজেড অ্যাটলাস জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মাতারবাড়ি জেটিতে নোঙ্গর করে। জাহাজটিতে ৬৫ হাজার ২০ মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটির ১২.৫ মিটার ড্রাফট এবং ২২৯ মিটার লম্বা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিটিতে জাহাজ ভেড়ানোসহ নৌপথের সব সহায়তা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে জাহাজ থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে কয়লা খালাস করা হবে। কয়লা খালাসে সময় লাগবে অন্তত চারদিন। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই কয়লা ব্যবহার হবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানায়, মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে তিন মাসে কয়লাবাহী সববৃহৎ ছয়টি জাহাজ ভিড়েছে। জাহাজগুলো এনেছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন কয়লা।
গত ২৫ এপ্রিল কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজ আসে মাতারবাড়ি জেটিতে। এরপর মে মাসে আরো চারটি এবং জুনে একটি জাহাজ কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি আসে।
১,২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।
সিপিজিসিবিএলের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, "প্রতিটি জাহাজে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন করে কয়লা এসেছে। কয়লাগুলো স্টোরেজ করা হচ্ছে। কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষ। কয়লা দিয়ে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন টেস্ট করা হচ্ছে। এরপর শুরু হবে কমিশনিং কার্যক্রম।"