ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেছেন, তার দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সাথে একমতো পোষণ করে এবং মনে করে যে বিশ্বের ভবিষ্যত একই সুতোয় গাঁথা।
তিনি 'কানাডা'স ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি: এ নিউ হরাইজন অব অপারচুনিটি'- শীর্ষক সম-সাময়িক ইস্যুতে বিআইপিএসএস এবং কানাডিয়ান হাইকমিশন যৌথভাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে ২০২৪ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপির অর্ধেক অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে হাইকমিশনার নিকোলস এসব তথ্যের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল কানাডার গুরুত্বপূর্ণ একটি পররাষ্ট্রনীতি- শান্তি ও নিরাপত্তা এই প্রতিপাদ্যের প্রথম স্তম্ভে কানাডার উদ্দেশ্য অবাধ, উন্মুক্ত, ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক। বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই ২০২৫ সালের মধ্যে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অর্জনের জন্য শান্তিরক্ষাকারী দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, কানাডার কৌশলের অন্যান্য প্রধান স্তম্ভগুলো হলো- অর্থনৈতিক বন্ধন, সবুজ ভবিষ্যত এবং জনগণের মধ্যে বন্ধন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) এর প্রেসিডেন্ট বলেন, 'ক্রমবর্ধমানভাবে সংযুক্ত বিশ্বে যেখানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন, কানাডা তখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব স্বীকার করেছে এবং এরসঙ্গে জড়িত থাকার জন্য একটি ব্যাপক কৌশল তৈরি করেছে'।
গোলটেবিল বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান।