দুই দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে গণপরিবহন কম, ভোগান্তি
রাজধানীতে একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ আয়োজনে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছাকাছি স্থান ও সময়ে সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে।
গণপরিবহন চলাচল কমেছে, যাত্রীদের সংখ্যাও অন্যদিনের তুলনায় কম। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীরা যানবাহন কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। তবে দুপুর হতেই সমাবেশের দিকে আসা গাড়িগুলোর কারণে চাপ বাড়তে থাকে।
তবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। সেখানকার আশেপাশের এলাকার লোকজন হেঁটে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। রোকসানা আফরোজ (৪৩) নামে এক গৃহিণী জানান, তার ৯ বছরের ছেলে অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। সড়ক বন্ধ থাকায় হেঁটে আসতে হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ আঁগারগাও, শ্যামলি, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মহাখালী সড়ক ঘুরেও দেখা গেছে যানবাহন কম। তেমন যাত্রীও নেই। তবে ফকিরাপুল থেকে মতিঝিলের রাস্তায় দুপুরে ছিল তীব্র যানজট। শাপলা চত্বর থেকে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এসব রুটে না গিয়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজছেন।
ফার্মগেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউর রহমান জানান, সকাল থেকে বিজয় স্বরণি ও ফার্মগেট এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কে বাড়তি চাপ নেই। তবে দুপুর থেকে চাপ বাড়ছে।
হাইকোর্ট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সাইদুর রহমান বলেন, সকাল থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক। সড়কে বাড়তি কোনো চাপ নেই।
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকে সরকার পতনের 'এক দফা' ঘোষণা করবে দলটি। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃষ্টির মধ্যেও দুই দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। ২৩ শর্তে রাজধানীতে সমাবেশ করতে উভয় দলকেই অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।